কোনোদিনও ভাবিনি ৫ বছরটাই শেষ বছর হবে।
যখন আমাদের সম্পর্কের ৯মাস তখন আমার ভালোবাসার মানুষটা আমাকে বলছে তার আরেকটা রিলেশন আছে তাও নাকি বিবাহিত এক মেয়ের সাথে।
তখন আমাকে বললো যে, আমি যদি তার সাথে থাকি সে সব ছেড়ে দিবে সে আমাকেই ভালোবাসবে আর আমার সাথেই থাকবে সব মেনে নিলাম সেদিন সারাটা রাত কান্না করছি প্রথমবার আলিফ এর জন্য কাদলাম ওকে হারানোর ভয় টা পেলাম। ছেড়ে দিবে তাকে এই কথা বলেও ৩/৪ মাস হয়ে গেলো কিছুই ঠিক হচ্ছেনা তাকেও ছাড়ছে না আর আমাকেওনা।
এমন করে চলতে থাকলো বহুদিন একদিন আমাকে বলছে যে, বাবুনি আমি তোমাকে চাইনা আমি অনেক ভাবছি আমি লাভলী (বিবাহিত মেয়েটা) কে ছাড়া থাকতে পারবো না। সেদিনও কাদলাম বলে দিলাম কান্না করে করে আম্মু আব্বু কে সব।
আম্মু আব্বু কথা বল্লো ওর সাথে বললো আমাকে নাকি মজা করে বলছে। এমন চলতে লাগলো একদিন সত্যি সত্যি সব ছেড়ে দিয়ে আমার কাছে রইলো আর কসম কাটতো প্রচুর তার আম্মুর তার ছোট বোনের আল্লাহ্ ‘র বিশ্বাস করে নিলাম। এরপর কিছুদিন ভালো ছিলো এরপর আবারও একই কাহিনি করতে লাগলো এমন করতো আর মাফ চাইতো মাফ করে দিতাম কমপক্ষে ৫০টার অপরে হবে মেয়েদের সাথে রিলেশনশিপে জড়াতো আর মাফ চাইতো।
শেষ যেটা হলো একদিন কান্না করে করে বলতেছে বাবুনি আমি একটা ভুল করে ফেলছি তুমি শুনলে এইবার আমাকে মাফ করবে না আর উল্টো সুইসাইড করবে তাও ওকে ভরসা দিয়ে বললাম বলো কিছু করবোনা আমি বলো কান্না করে করে বল্লো আমি আবার বিবাহিত মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি ওর স্বামী সব জেনে গেছে এখন মামলা দিবে আমার নামে আমার জন্য দোয়া কইরো।
তখন বুঝছিলাম না কি করবো ওকে ঠান্ডা মাথায় না রেগে বলে দিলাম তুমি চ্যাঞ্জ হবার না আমি আর থাকবোনা তোমার সাথে ওর কান্না দেখে কে বলে শেষবার একটা সুযোগ দাও এইবার বিশ্বাস করে দেখো এরপর বললাম কোনো কসমই তো বাদ রাখো নাই তাহলে আর কিভাবে বলে কি আমি কুরআন ধরে বললে তো বিশ্বাস করবো অনেক বার না করছি তাও ভিডিও কলে এসে বললো সব আর কখনো ঠোকাবো না এরপর কুরআন ধরে বললো কখনো মিথ্যে বলবেনা ২০১৮ সালে তখন বললো এরপর সব ভালো যাচ্ছে।
এরপর কিছুদিন আগে জানতে পারলাম ওর নাকি আরেকটা গফ আছে ওর এলাকারই তাও বল্লো ও নিজেই আমার ফেইক আইডি তে এর মধ্যে আরেকটা কথা ওর রিয়েল আইডির পাসওয়ার্ড আমাকে দিয়ে ফেইক আইডি খুলে ওই মেয়ের সাথে কথা বলতো আমাদের ৫ বছর আর মেয়ের সাথেও ২/৩ বছর এর রিলেশন এমনকি ফিজিক্যালি রিলেশনশিপ এ থাকতো ওইকে নাকি ২/৩ বার মেয়ে আমাকে খুব গর্বের সাথে বলতে লাগলো মানে কি করবো কি হচ্ছে বুঝলাম না কিছুই সব বললাম আমার আলিফ কে সব অস্বীকার করলো আর যে মেয়ে আমাকে বললো আবার বললো গ্রুপ কলে আলিফ এর সামনে সব বলবে আর আমাকে রেখে আমি ওয়েট করতে লাগলাম কিন্তু মেয়ে আর কল দিচ্ছে না এরপর অবশেষে কল দিলো গতকাল রাত ৯টা বাজে তাও আমার বফ এর সামনে গিয়ে আমি তো পুরোই শোকড মানে কি করবো কি বলবো বুঝতেছিনা শুধু কান্না আসতেছে শুধু কাদছি আমি কিছু বলতে পারতেছি ওদের একসাথে দেখে আমি আমার আয়েশা আপি কে কনফারেন্স করলাম এরপর আয়েশা আপি আলিফ কে জিজ্ঞেস করলো কি এগুলি ভাইয়া আলিফ বলে দিলো খুব সহজেই ওই মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে নাকি ভালোবাসেনা আমাকে নাকি চায়না আমার সাথে রিলেশন রাখবেনা।
এরপর শুধু বললাম তাহলে এতোদিন এর ভালোবাসা আলিফ মেয়ের সামনে বল্লো আমি নাকি জোর করে ৫বছর রিলেশনশিপে ছিলাম।
এরপর প্রায় ১ঘন্টা পর সেই মেয়েটা আমাকে আবার কল করে বলে জোর করে কেনো ছিলে আমার বফ এর সাথে জোর করে কিছুই কখনো হয়না। আর কখনো আমার বফ কে জোর করে কল দিবা না দিলে খারাপ হয়ে যাবে আরো নানান গালিগালাজ কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারিনি কারণ আমার ভালোবাসার মানুষটাই তো তাকে বেছে নিয়েছে। এরপর বুঝিয়ে বলে দিয়েছি আমাকে আর কল দিয়েন না আপু। তাও আলিফ এর কল ওয়েটিং থাকলেই মেয়ে আমাকে কল দিচ্ছে আর আমাকে গালিগালাজ করতেছে আর বলতেছে আলিফ শুধু আমার আমাদের মাঝে এসোনা ফল তাহলে ভালো হবেনা আমি আমার বফ কে বিশ্বাস করি তো তোমারই দোষ ছিলো। এগুলি বলেও বার বার স্টিল আমাকে কল দিচ্ছে আলিফ ওয়েটিং থাকলেই। অথচ সেই বললো সে নাকি তাকে বিশ্বাস করে খুব।
জানিনা কি করবো কি হবে কখনো ভুলতে পারবো নাকি বা কল না দিয়ে থাকতে পারবো নাকি। কিন্তু শেষ দেখা হয়েছে আমাদের ২৩ সেপ্টেম্বর আর এটা ২৩ তারিখেরি ছবি। সেদিনই হয়তো শেষ দেখা ছিলো আমাদের। আর খুব কম দেখা হতো আমাদের আমি থাকি নবাবগঞ্জ আর আলিফ মগবাজার এরজন্য দেখাই হয়না তেমন।
আলিফ কাল বল্লো ওই মেয়ে কাছে থাকে তাই ওই মেয়ের সাথে দেখা হয় থাকা হয় রোজ দেখে তাই ওর প্রতি বেশি ভালোবাসা আমি দূরে থাকি দেখে এখন কোনো ফিলিংস আসেনা।
কিন্তু আমি জানি দুরত্ব কখনো সম্পর্ক নষ্ট করেনা, যদি মনের অনুভূতি ঠিক থাকে তাহলে সম্পর্কটাও ঠিক থাকে আজীবন।
আসলে আমাকে কখনো ভালোবাসেনি আর আল্লাহ্কে ও বাসেনি বাসলে কখনো আল্লাহ্’র নাম আর আল্লাহ্’র কুরআন নিয়ে মিথ্যে কসম কাটতো না।
আমি নামায পরে আলিফ কে অনেক চাই তাও আল্লাহ্ দিলো না হয়তো ওর চেয়ে ভালো কিছু রেখেছে বা ও একদিন আসবে কারণ মোনাজাতের চোখের পানি আর সিজদা ‘য় চাওয়া কখনো বিফলে যায়না। আমার ভালোবাসাটা ছিলো পবিত্র নোংরামি না। আমাদের ৫ বছরের মধ্যে ১২ বার দেখা হয়েছিলো আমার মাত্র। থাক আর কি করার জোর করে কিছুই হয়না।
তার থেকে বড় হলো ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা তার ভালোবাসাকে নিয়ে!
I just like the valuable information you provide for your articles. Demetra Paige Studner